বাংলাদেশের জন্য সুখবর!
ট্রাম্প প্রশা/সনের ক/ঠোর ভিসা নি'ষেধা/জ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই!
যেখানে অনেক দেশ ভিসা নিষে/ধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছিল না, সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কোনো বিশেষ বিধি/নি/ষেধ আরোপ করা হয়নি। এটি আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়, কারণ আমরা স্বাভাবিক নিয়মে মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারি।
ট্রাম্প প্রশা/সনের ভিসা নিষে/ধাজ্ঞার তালিকা: লাল, কমলা ও হলুদ দেশসমূহ
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন অভিবাসন ও জাতীয় নিরা/পত্তার স্বার্থে কিছু দেশের নাগরিকদের উপর কঠোর ভিসা নিষে/ধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এই নিষেধা/ জ্ঞাগুলি তিনটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছিল: লাল (Red), কমলা (Orange), এবং হলুদ (Yellow) তালিকা।
লাল তালিকা (Red List) – সম্পূর্ণ নি/ষিদ্ধ
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ/ভাবে নি/ষিদ্ধ ছিল। মূলত সন্ত্রা/স/বাদের ঝুঁকি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নীতির কারণে এসব দেশকে ব্ল/ক করা হয়েছিল।
লাল তালিকার দেশগুলো:
আফগানিস্তান
ভুটান
কিউবা
ইরান
লিবিয়া
উত্তর কোরিয়া
সোমালিয়া
সুদান
সিরিয়া
ভেনেজুয়েলা
ইয়েমেন
কমলা তালিকা (Orange List) – কঠোর ভিসা নিয়ন্ত্রণ
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া ক/ঠোর করা হয়েছিল এবং অতিরিক্ত নিরা'পত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। বিশেষ করে, পর্যটন এবং অভিবাসনের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করা হয়।
কমলা তালিকার দেশগুলো:
বেলারুশ
এরিত্রিয়া
হাইতি
লাওস
মিয়ানমার
পাকিস্তান
রাশিয়া
সিয়েরা লিওন
তুর্কমেনিস্তান
হলুদ তালিকা (Yellow List) – ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ও অভিবাসন সংক্রান্ত শর্ত পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ না করলে, তাদের ভিসা নী/তিতেও কঠোর নিষে/ধাজ্ঞা আরোপ করা হতো।
হলুদ তালিকার দেশগুলো:
অ্যাঙ্গোলা
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
বেনিন
বুর্কিনা ফাসো
কম্বোডিয়া
ক্যামেরুন
কেপ ভার্দে
চাদ
কঙ্গো (Republic of Congo)
ডোমিনিকা
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি
গাম্বিয়া
লাইবেরিয়া
মালাউই
মালি
মরিতানিয়া
সেন্ট কিটস ও নেভিস
সেন্ট লুসিয়া
সাও টোম ও প্রিন্সিপে
ভানুয়াতু
জিম্বাবুয়ে
নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ও সমালোচনা
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি ছিল, এই নিষে/ধা/জ্ঞার মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় নিরা/পত্তা রক্ষা, অবৈধ অভিবাসন কমানো এবং সন্ত্রা/সবাদের ঝুঁকি প্রতিরোধ করা। তবে, অনেকেই এটিকে বৈষম্যমূলক নীতি বলে সমালোচনা করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসে কিছু নিষে/ধাজ্ঞা বাতিল করে।